র‌্যাব-১২'র পৃথক অভিযানে সিরাজগঞ্জ এবং টাঙ্গাইলে ১ হাজার ৪৭ পিচ ইয়াবাসহ ৪ জন শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার







বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জ এবং টাঙ্গাইলে র‌্যাবের পৃথক অভিযানে ১ হাজার ৪৭ পিচ ইয়াবাসহ গ্রেফতার ৪

 

 

 

Global New News Desk -

 

বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জ এবং টাঙ্গাইলে র‌্যাবের পৃথক অভিযানে ১ হাজার ৪৭ পিচ ইয়াবাসহ গ্রেফতার ৪ ।র‌্যাব জানায় , রোববার ( ২৫ জুলাই ) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে র‌্যাব-১২ স্পেশাল কোম্পানীর একটি চৌকষ আভিযানিক দল টাঙ্গাইল জেলার  ঘাটাইল থানাধীন জামালপুর (দক্ষিনপাড়া) গ্রামের মো. মনিরুল ইসলাম এর বাড়ী এক মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা  করে ।

 

 

 

এসময় নয়শত নব্বই পিচ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ২ জন শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়।তাহাদের নিকট থেকে মাদক ক্রয়-বিক্রয় এর কাজে ব্যবহৃত ০২টি মোবাইল ফোন এবং নগদ ৮০০০/-(আট হাজার) টাকা জব্দ করা হয়।

 

 

 

গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন , টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলার জামালপুর গ্রামের মৃত আব্দুল গফুর এর ছেলে মো. মনিরুল ইসলাম (৩৪)।এবং

 

 

একই উপজেলার চৈথট্র গ্রামের মো. সালাম সরকার এর ছেলে মো. জাহিদুল ইসলাম (২৬)।

 

 

 

গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের ৩৬(১) সারনীর ১০(ক) ধারার মামলা দায়ের করত উদ্ধারকৃত আলামতসহ তাদেরকে টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

 

 

 

সোমবার পৃথক অভিযানে ( ২৬ জুলাই ) সকাল সোয়া ৬ টার দিকে র‌্যাব-১২ সদর কোম্পানীর একটি চৌকষ আভিযানিক দল সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গা থানাধীন হাটিকুমরুল ইউনিয়নের ঢাকা রাজশাহী হাইওয়ে রোডের দক্ষিন পার্শ্বে সিরাজগঞ্জ রোডে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড এর সামনে এক মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা  করে ।

 

 

 

এসময় ৫৭ (সাতান্ন) পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট এবং ৬ (ছয়) গ্রাম গাঁজাসহ ২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। তাহাদের নিকট থেকে মাদক ক্রয়-বিক্রয় এর কাজে ব্যবহৃত ২টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

 

 

 

গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন , কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানার দক্ষিন খাজিরা থাক গ্রামের মো. রিয়াজুল ফকির এর ছেলে মো. জুয়েল রানা (২৪)।এবং

 

 একই থানার উদয়নগর গ্রামের মো. গোলাম হোসেন শিকদার এর ছেলে মো. রাশেদুল ইসলাম (২৫) ।

 

উভয়ের বর্তমান ঠিকানা - হুতাপাড়া বেগমপুর (মো. হাসেম ব্যাপারী এর বাসার ভাড়াটিয়া), থানা- জয়দেবপুর, জেলা-গাজীপুর।

 

 

 

গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের ৩৬ এর (১) সারণীর ১০(ক) ও ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের ৩৬ এর (১) সারণীর ১৯(ক) ধারায় মামলা দায়ের করত উদ্ধারকৃত আলামতসহ তাদেরকে সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গা  থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

 

 

 

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, এই মাদক ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন যাবত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার চোখ ফাঁকি দিয়ে সিরাজগঞ্জ এবং টাঙ্গাইল জেলার বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ নেশাজাতীয় মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় করে আসছিল।

 

 

 

 

র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।

 

 

 

জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, ছিনতাইকারী, জুয়ারি, মাদক ব্যবসায়ী, খুন, এবং অপহরণসহ বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর মামলার আসামী গ্রেফতারে র‌্যাব নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে।

 

 

 

 

এ ধরণের মাদক বিরোধী অভিযান সচল রেখে সোনার বাংলা গঠনে র‌্যাব-১২ বদ্ধপরিকর।

র‌্যাব-১২ কে তথ্য দিন - মাদক , অস্ত্রধারী ও জঙ্গিমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে অংশ নিন। 


 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ