আমেরিকার ফ্লোরিডায় ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছিল ১৯৮০ সালে, এতে ১৩০টি ইউনিট ছিল, সেখানে চিলির ১ জন, আর্জেন্টিনার ৯, প্যারাগুয়ের ৬, কলোম্বিয়ার ৬, ভেনিজুয়েলার ৬ এবং উরুগুয়ের ৬ জন নাগরিক অবস্থান করছিলেন বলে জানা গেছে







ফ্লোরিডায় ভবন ধস : ধসে পড়া ভবনে বোনকে খুঁজছেন প্যারাগুয়ের ফার্স্ট লেডি , ঘটনায় মৃত্যু বেড়ে ৯, নিখোঁজ ১৫৯

         

 

 

 

Global New News Desk -

ফ্লোরিডায় ভবন ধসে নিখোঁজের তালিকায় আছেন প্যারাগুয়ের ফার্স্ট লেডি সিলভানা লোপেজ মোরেইরার বোন ও তার পরিবার। তাদের খোঁজ নিতে বর্তমানে ফ্লোরিডায় অবস্থান করছেন মোরেইরা। প্যারাগুয়ে প্রেসিডেন্ট ভবনের বরাতে সিএনএন জানায়, দেশটির ফার্স্ট লেডি, তার বাবা-মা, তার বোনের শশুড়বাড়ির লোকজন ফ্লোরিডায় পৌঁছেছেন।

 

প্যারাগুয়ে প্রেসিডেন্ট ভবনের বরাতে গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, দেশটির ফার্স্ট লেডি, তার বাবা-মা, তার বোনের শশুড়বাড়ির লোকজন ফ্লোরিডায় পৌঁছেছেন। কেননা ধসে পড়া ভনটিতে সিলভানা লোপেজ মোরেইরার বোন সোফিয়া লোপেজ মোরেইরা, তার স্বামী লুইস প্যাটেনগিল ও তাদের তিন সন্তান অবস্থান করছিলেন। তারা করোনাভাইরাসের টিকা গ্রহণ করার জন্য মিয়ামাইতে এসেছিলেন।

 

সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা গেছে, নিখোঁজদের মধ্যে বেশ কিছু ল্যাটিন আমেরিকান অভিবাসী আছে বলে জানিয়েছে তাদের দূতাবাসগুলো।

 

সেখানে চিলির ১ জন, আর্জেন্টিনার ৯, প্যারাগুয়ের ৬, কলোম্বিয়ার ৬, ভেনিজুয়েলার ৬ এবং উরুগুয়ের ৬ জন নাগরিক অবস্থান করছিলেন বলে জানা গেছে।

 

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় একটি বহুতল ভবন ধসের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে নয় জনে দাঁড়িয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া ১৫০ জনের খোঁজ এখনও মেলেনি।

 

জীবিতদের উদ্ধারের আশায় খুব সাবধানতার সাথে উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে। তবে সময়ের সাথে সাথে উদ্ধারের সম্ভাবনা ক্ষিণ হয়ে আসছে।

 

এদিকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে কেন্দ্রীয় জরুরি বিভাগকে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

 

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার অঙ্গরাজ্যটির মায়ামির পার্শ্ববর্তী সার্ফসাইড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। যে ভবনটি ধসে গেছে সেটি আবাসিক ভবন; যারা নিখোঁজ রয়েছেন তাদের মধ্যে কমপক্ষে ১৮ জন লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশের নাগরিক।

 

বিবিসি বলছে, ৪০ বছরের এই পুরনো ভবনটি কেন ধসে পড়েছে তা জানা যায়নি। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে।

 

১০২ জন মানুষ ওই ভবনটি থাকতেন। তবে এটি ধসে পড়ার সময় ভেতরে কতজন ছিলেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বেশ কিছু মানুষকে উদ্ধার করে এরই মধ্যে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

 

দুর্ঘটনার পর মায়ামি-ডেড কাউন্টির ডেপুটি কমিশনার সেলি হেইম্যান বলেন, এই ভবনে অনেকেই স্থায়ীভাবে বসবাস করতেন। আবার কেউ কেউ শীতের সময় এসে সেখানে থাকতেন।

 

ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছিল ১৯৮০ সালে। এতে ১৩০টি ইউনিট ছিল। এই ধসের কারণে অর্ধেক ইউনিট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

 

কী কারণে ভবনটির একটি অংশ ধসে পড়ল তা পরিষ্কার হয়নি। কিন্তু ২০১৮ সালে প্রকৌশলীদের একটি নিরীক্ষা প্রতিবেদনে ৪০ বছরের পুরনো ভবনটির আন্ডারগ্রাউন্ড পার্কিং গ্যারেজে কাঠামোগত অবনতির কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। 

 

 

 

 

#globalnewnews.com    

#globalnewnews.com/bn    

#globalnewnewsen.blogspot.com    

#globalnewnewsbn.blogspot.com    

#gnn

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ