বাংলাদেশ ইন্টারনেটের গতিতে ১৩৫তম, ফেসবুকের বিকল্প আসছে 'যোগাযোগ': পলক , মোবাইল হ্যাকিং হলে বুঝবেন যেভাবে



মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে ১৩৭ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১৩৫তম , মোবাইল ফোন হ্যাকিংয়ের শিকার হলে বুঝবেন যেভাবে , ফেসবুকের বিকল্প হিসেবে আসছে 'যোগাযোগ': পলক ,
 

 



মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে ১৩৭ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১৩৫তম

 

 

Global New News Desk   -   

মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে বিশ্বে ১৩৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৫তম। বাংলাদেশের পেছনে আছে শুধু আফগানিস্তান ও ভেনেজুয়েলা।

 

 ইন্টারনেটের গতি নিয়ে মাসভিত্তিক চিত্র তুলে ধরা প্রতিষ্ঠান ওকলা'র জুন মাসের হিসাবে এ অবস্থা উঠে এসেছে। এতে দেখা যায়, বাংলাদেশে মোবাইল ইন্টারনেটের ডাউনলোড গতি ১২ দশমিক ৪৮ এমবিপিএস। আপলোডের গতি ৭ দশমিক ৯৮ এমবিপিএস। ওকলার মতে, বাংলাদেশের অবস্থান জুন মাসে এক ধাপ পিছিয়েছে এবং ইন্টারনেটের গড় গতি সামান্য কমেছে।

 

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) হিসাবে, মে মাস শেষে দেশে মোবাইল ইন্টারনেটের ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ কোটি ৭৫ লাখ। আর দেশে ব্রডব্যান্ডের গ্রাহকসংখ্যা ৯৮ লাখের কিছু বেশি।

 

ওকলার তথ্য অনুযায়ী, ১৯৩ এমবিপিএস  ডাউনলোড গতি নিয়ে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি গতির ইন্টারনেট সংযুক্ত আরব-আমিরাতের। এরপরে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, কাতার, নরওয়ে ও সাইপ্রাস।

 

 

এ তালিকায় ভিয়েতনাম ৫৮, মালয়েশিয়া ৮৯, কম্বোডিয়া ৯১, নেপাল ১০৫, মিয়ানমার ১০৯, পাকিস্তান ১১৪, ভারত ১২২ এবং শ্রীলঙ্কা ১২৯তম অবস্থানে রয়েছে। তালিকায় সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা পাঁচ দেশ ভেনেজুয়েলা, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, জিম্বাবুয়ে ও সুদান।

 

 

গ্রাহকদের সর্বনিম্ন ৭ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট দিতে হবে   

 

দেশে মোবাইল ইন্টারনেটের কম গতির বিষয়টি গত মার্চে বিটিআরসির এক জরিপে উঠে আসে। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় চালানো এ জরিপে দেখা যায়, ঢাকার গ্রাহকেরা ফোর-জিতে ৩ থেকে ৬ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট পাচ্ছেন। অথচ বিটিআরসির বেঁধে দেওয়া নিয়মে, গ্রাহকদের সর্বনিম্ন ৭ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট দিতে হবে।

 

জরিপে ২৩ জানুয়ারি থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পরীক্ষা চালানো হয়। এতে বিটিআরসি ২০১৮ সালের সেবার মান বেঁধে দিয়ে যে বিধিমালা জারি করেছিল, সে অনুযায়ী অপারেটরেরা গ্রাহকদের সেবা দিচ্ছে কি-না তা দেখা হয়।

 

ওকলার মতে, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতির দিক দিয়ে ১৮১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৯৮তম। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান গত মাসের চেয়ে দুই ধাপ পিছিয়েছে। দেশে ব্রডব্যান্ডে ডাউনলোডের গতি ৩৮ এমবিপিএসের কিছু বেশি এবং আপলোডের গতি ৩৭ এমবিপিএসের মতো।

 

ব্রডব্যান্ডে ২৬১ এমবিপিএস গতি নিয়ে সবার উপরে আছে মোনাকো। ৪ দশমিক ৪৯ এমবিপিএস গতি নিয়ে সবার নিচে অবস্থান তুর্কমিনিস্তান। এ তালিকায় ৫৮ এমবিপিএস গতি নিয়ে ভারতের অবস্থান ৭০তম। ১২ দশমিক ৭৭ এমবিপিএস গতি নিয়ে পাকিস্তান ১৬৪তম।

 

 

 

 

মোবাইল ফোন হ্যাকিংয়ের শিকার হলে বুঝবেন যেভাবে

 

আপনার ফোনে কি কেউ আড়ি পেতেছে? কেউ কি আপনার হ্যান্ডসেটকে নজরদারিতে রাখছে, কিছু বিষয় খেয়াল করলে ধরতে পারবেন আপনিও।

 

 

 

ফোনের ব্যাটারি দ্রুত চার্জ হারায়

 

হ্যান্ডসেটের ব্যাটারিতে কোনো সমস্যা না থাকার পরেও যদি স্বাভাবিকের তুলনায় দ্রুত চার্জ হারায়, তাহলে বুঝতে হবে ফোনের ভেতরে সক্রিয় অবস্থায় কোনো ম্যালওয়্যার কিংবা অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো অ্যাপ রয়েছে। আর এজন্যই ফোনের ব্যাটারি দ্রুত চার্জ হারাচ্ছে।

 

 

ফোন ব্যবহার না করলেও এসব ম্যালওয়্যার কিংবা অনাকাঙ্ক্ষিত অ্যাপ সক্রিয় থেকে যায়। এজন্য প্রথমে ব্যাকগ্রাউন্ড চেক করতে হবে এবং জানার চেষ্টা করতে হবে নির্দিষ্ট কোনো মুহূর্তে কতগুলো অ্যাপ কার্যকর অবস্থায় রয়েছে। একসঙ্গে যদি একাধিক অ্যাপ চলমান থাকে তাহলে দ্রুত ফোনে ব্যাটারি চার্জ হারায়।

 

 

এ কারণে কোনো অ্যাপ ব্যবহার করার পর সঙ্গে সঙ্গে সেটি বন্ধ করে দিতে হবে। পাশাপাশি ম্যালওয়্যার চেক করার জন্য বিভিন্ন সিকিউরিটি প্রোগ্রামও রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করে ফোনে ম্যালওয়্যার কিংবা অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো অ্যাপের উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়া যায়।

 

 

 

ফোনে অপরিচিত অ্যাপ

 

 

ফোনে ডাউনলোড করা অ্যাপ নিয়মিত চেক করতে হবে। ফোনে যদি এমন কোনো অ্যাপ থাকে যা আপনি ডাউনলোড করেননি কিংবা এমন কোনো অ্যাপ দেখা যাচ্ছে যা অপরিচিত, তাহলে সেটি হতে পারে কোনো এক হ্যাকিং সফটওয়্যার কিংবা স্পাইওয়্যার।

 

 

ধীরগতির ফোন

 

স্মার্টফোন স্লো বা ধীর গতির হয়ে যাওয়াটাও উদ্বেগের কারণ হতে পারে। তাই যখন মনে হবে স্মার্টফোন স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক স্লো কাজ করছে, তখনই চেক করার চেষ্টা করুন ফোনের ভেতর কোনো ম্যালওয়্যার আছে কিনা।

 

 

 

অতিরিক্ত ডাটা খরচ

 

আপনি ফোন অপারেটরের থেকে ডাটা কিনেছেন, কিন্তু নির্ধারিত সময়ের অনেক আগে যদি কেনা ডাটার সীমা শেষ হয় তাহলে সেটিও হতে পারে উদ্বেগের বিষয়। ম্যালওয়্যার কিংবা অনাকাঙ্ক্ষিত অ্যাপের উপস্থিতির কারণে এমনটি হতে পারে, অনেক ক্ষেত্রে এসব ম্যালওয়্যার কিংবা অনাকাঙ্ক্ষিত অ্যাপ ব্যবহারকারীর অজান্তে ফোনের ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে তার অ্যাক্টিভিটি ট্র্যাক করতে পারে।

 

 

 

ফোনের অস্বাভাবিক আচরণ

 

ফোন ব্যবহার করতে গিয়ে অস্বস্তিতে পড়ছেন? কোনো অ্যাপ হঠাৎ করে তার কার্যকারিতা বন্ধ করে দিচ্ছে? কিংবা অ্যাপ ক্রাশ করছে? এমনকি আপনার পরিচিত কোনো ওয়েবসাইটকে অস্বাভাবিক মনে হচ্ছে? হ্যাকিং সফটওয়্যার কিংবা স্পাইওয়্যারের উপস্থিতি অনেক সময় ফোনকে এ ধরনের অস্বাভাবিক আচরণের দিকে ঠেলে দিতে পারে।

 

 

 

ফোন অতিমাত্রায় গরম হচ্ছে

 

দীর্ঘ সময় ফোন ব্যবহার করলে বিশেষত একটানা দীর্ঘক্ষণ মোবাইলে গেমস খেললে কিংবা নেভিগেশন সফটওয়্যার ব্যবহার করলে ফোন গরম হয়ে ওঠে। এটা নিতান্ত স্বাভাবিক ঘটনা। যদি ফোন ব্যবহার না করার পরও সেটি গরম হয়ে ওঠে, তবে তা দুশ্চিন্তার কারণ হতে পারে। হ্যাকিং সফটওয়্যার কিংবা স্পাইওয়্যারের উপস্থিতির কারণে এভাবে ফোন ব্যবহার না করার পরও গরম হয়ে উঠতে পারে।

 

 

 

অপ্রত্যাশিত ফোন কল কিংবা মেসেজ

 

আপনার ফোনে এমন কোনো নম্বর থেকে ফোন কল কিংবা টেক্সট মেসেজ পেয়ে থাকেন যেটা গতানুগতিক আপনার পরিচিত কোনো নম্বর থেকে একেবারে ভিন্ন, তাহলে সেটিও হতে পারে ভীষণ উদ্বেগের কারণ। এ ছাড়া আপনার ইনবক্সে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ও অস্বাভাবিক কোনো বার্তার উপস্থিতিও আপনাকে ফাঁদে ফেলতে পারে।

 

 

 

আচমকা ফ্ল্যাশ লাইট অন

 

আপনি ফোন ব্যবহার করছেন না কিন্তু হঠাৎ লক্ষ্য করলেন আপনার ফোনের ফ্ল্যাশ লাইট স্বয়ংক্রিয়ভাবে অন হয়ে যাচ্ছে। এ ধরনের ঘটনা আপনার জন্য চরম অশনিসংকেত। এর কারণ হতে পারে দূর থেকে কেউ আপনার ফোনকে নিয়ন্ত্রণ করছে

 

 

 

গ্যালারিতে অপরিচিত ছবি কিংবা ভিডিও

 

আপনার ফোনে যদি এমন ছবি কিংবা ভিডিও পাওয়া যায় যেটি ইতোপূর্বে আপনি কখনও ধারণ করেননি, সেটিও হতে পারে আপনার ফোনে হ্যাকিং সফটওয়্যার কিংবা স্পাইওয়্যারের উপস্থিতির আরও একটি কারণ। হয়তো-বা হ্যাকিং সফটওয়্যার কিংবা স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে আপনার অজান্তে কেউ দূর থেকে আপনার ফোনের ক্যামেরাকে নিয়ন্ত্রণ করছে।   

 

 

 

বাংলাদেশে ফেসবুকের বিকল্প হিসেবে আসছে 'যোগাযোগ': পলক

 

 

আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে ফেসবুকের বিকল্প নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম 'যোগাযোগ' তৈরি করা হচ্ছে।

 

এর মাধ্যমে দেশের উদ্যোক্তারা তথ্য, উপাত্ত এবং যোগাযোগের জন্য নিজেদের মধ্যে একটি নিজস্ব অনলাইন মার্কেটপ্লেস ও গ্রুপ তৈরি করতে পারবে। উদ্যোক্তাদের বিদেশনির্ভর হতে হবে না।

 

শনিবার 'এন্টারপ্রেনারশিপ মাস্টারক্লাস সিরিজ ২'-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এসব কথা বলেন।

 

ফেসবুকভিত্তিক উইমেন ই-কমার্স (উই) আয়োজিত অনুষ্ঠানে পলক বলেন, আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে এরই মধ্যে জুম অনলাইনের বিকল্প 'বৈঠক' প্ল্যাটফর্ম এবং করোনা প্রতিরোধে ভ্যাকসিন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম 'সুরক্ষা' অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে। নিজস্ব যোগাযোগের জন্য হোয়াটসঅ্যাপের বিকল্প 'আলাপন' নামে প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হচ্ছে।

 

 

এ সময় তিনি আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মসহ বিভিন্ন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরির কার্যক্রমের বিস্তারিত তুলে ধরেন।

 

 

 

তিনি বলেন, উইমেন ই-কমার্স এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে উপকৃত হবে।

 

প্রতিমন্ত্রী ২০১৮ সালে ডিজিটাল ই-কমার্স পলিসি করা হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, দেশের লাখ লাখ উদ্যোক্তা তৈরি করতে তরুণ ও যুবকদের যে কোনো নতুন নতুন উদ্ভাবনে সরকার নীতিগতসহ বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করছে।

 

তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য ২০২১ সালের মধ্যে আইসিটি সেক্টরে ২০ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। এর মধ্যে সফলতার সঙ্গে ১৫ লক্ষাধিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হয়েছে।

 

তিনি আরও বলেন, ই-কমার্স, হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, বিপিও সেক্টর মিলে ২০২১ সালের মধ্যে ২০ লক্ষাধিক কর্মসংস্থানের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হবে।

 

এছাড়া ২০২৫ সালের মধ্যে পাঁচ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় করা সম্ভব হবে।

 

নারী উদ্যোক্তাদের উদ্ভাবনে মনোনিবেশের আহ্বান জানিয়ে পলক বলেন, উদ্যোক্তা হওয়ার প্রথম চ্যালেঞ্জ ঝুঁকি নেওয়ার সাহস থাকা। এক্ষেত্রে ঝুঁকি নিতে হবে।

 

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক রেজাউল মাকসুদ জাহেদি, সিল্ক গ্লোবালের সিইও এবং উই-এর বৈশ্বিক উপদেষ্টা সৌম্য বসু, প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি নাসিমা আক্তার নিশা, অ্যাডভাইজার কবির সাকিব। পরে প্রতিমন্ত্রী মাস্টারক্লাস সিরিজ-২-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

 

 

 

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ