ঘাটাইলে স্কুল মাঠে পাকা সড়ক নির্মাণ , বড় দুর্ঘটনার আশংকা বিঘ্ন ঘটবে খেলাধুলার



ঘাটাইলে স্কুল মাঠে পাকা সড়ক নির্মাণ

বড় দুর্ঘটনার আশংকা বিঘ্ন ঘটবে খেলাধুলার

আগেও তো গাড়ি-ঘোড়া চলছে সমস্যা হয়নি, এখনো হবেনা - উপজেলা চেয়ারম্যান ঘাটাইল

 

 

Global New News Desk -

বিদ্যালয়ের মাঝ মাঠ বরাবর পাকা সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু করেছে পৌরসভা। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবী কোন প্রকার অনুমতি এবং সম্মতি ছাড়াই এ কাজ করা হচ্ছে। অথচ স্কুল ভবনের দেয়াল ঘেষে ঘাটাইল উপজেলা চেয়ারম্যানের বাড়ি। একই গ্রামে বাস ঘাটাইল পৌর মেয়রের। পৌরসভার একজন কাউন্সিলর যিনি ওই স্কুলের সভাপতি তার বাড়িও একই গ্রামে। এই তিন জনপ্রতিনিধির গ্রামের নামেই নামকরণ রতনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।


খেলার মাঠের মাঝ বরাবর সড়ক নির্মাণ করা হলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার বিঘœ ঘটা। পাকা রাস্তায় পড়ে গিয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার শিকার। রাস্তায় চলাচলকারি যানবাহনের সাথে দুর্ঘটনা ঘটাসহ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি এবং বিদ্যালয়ের সৌন্দর্যও নষ্ট হবে বলে মনে করেন স্থানীয়রা।

নির্মাণ কাজ বন্ধের জন্য ২৯ জুলাই ইউএনও’র কাছে লিখিত আবেদন করেছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।


লিখিত ওই আবেদনে বলা হয়েছে স্কুলের মাঝ মাঠ বরাবর সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে, ফলে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার জায়গা নষ্ট হচ্ছে। জলাবদ্ধতা সৃষ্টিসহ নষ্ট হচ্ছে বিদ্যালয়ের সৌন্দর্যও।

 

স্কুলের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম জানান, স্কুলের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে লিখিতভাবে অবগত করা হয়েছে।


কয়েকজন গ্রামবাসির আশঙ্কা মাঝ মাঠ বরাবর সড়ক নির্মাণ করা হলে যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের সড়ক দুর্ঘটনা। তাদের দাবি সড়ক হোক স্কুলের উত্তর দিক দিয়ে, মাঠ দিয়ে নয়।

 

জানা যায় সড়কটির প্রস্তাবক ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি ও এলাকার পৌর কাউন্সিলর কাজী জাহাঙ্গীর। তিনি জানান, উপজেলা চেয়ারম্যান এবং মেয়র বুঝেশুনেই রাস্তা নির্মাণ করছেন। এখানে আমার কিছু বলার নেই।

 

ঘাটাইল পৌর মেয়র শহীদুজ্জামান খান বলেন, স্কুল কমিটির সভাপতি, শিক্ষা কর্মকর্তা ও গ্রামবাসী সম্মিলিতভাবে আমাকে সড়ক নির্মাণ করার অনুমতি দিয়েছেন। নির্মাণ শুরু করার সময়ও কেউ আমাকে নিষেধ করেননি। হঠাৎ করে কেনো তারা বিষয়টি অস্বীকার করছে তা আমার বোধগম্য নয়।

 

মেয়রের কখা ভিত্তিহীন উল্লেখ করে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বলেন, বিষয়টি ২৮ জুলাই আমি জানতে পারি। পরে সরেজমিন পরিদর্শন করে ২৯ জুলাই খেলার মাঠ নষ্ট করে সড়ক নির্মাণ বন্ধে ইউএনও কাছে আবেদন করি।

 

উপজেলা চেয়ারম্যান ও শিক্ষা কমিটির সভাপতি শহিদুল ইসলাম লেবু বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তা দিয়ে প্রাচিনকাল থেকেই মানুষ চলাচল করে। বিকল্প আর রাস্তা নেই। পাকা করণের ফলে শিক্ষার্থীদের কোনো সমস্য হবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগেও তো গাড়ি-ঘোড়া চলছে সমস্যা হয়নি, এখনো হবেনা। জনস্বার্থেই সড়কটা করা হচ্ছে।

 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ফারজানা ইয়াসমিন বলেন, বিষয়টি জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অবগত করা হয়েছে এবং কাজ বন্ধ রাখার জন্য মেয়রকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ