পরিবেশ বান্ধব, ভুমিকম্প সহনশীল ও সাশ্রয়ী কংক্রিট ব্লক হতে পারে আগামীর সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ

 


 

 

 

 

পরিবেশ: সিমেন্ট ব্লক বনাম ইট

 

 

 

 

 

Global New News Desk  --

সিমেন্ট ব্লক বনাম ইট ।বাংলাদেশে ২০২০ সালের মধ্যে পোড়ামাটির ইট তৈরি ও ব্যবহার বন্ধ করার পদক্ষেপ নিয়েছিল সরকার। প্রাথমিক ভাবে প্রচলিত ইটখোলাগুলোকে প্রথম বছর ২০%  কংক্রিট ব্লক তৈরি করতে বাধ্য করা হবে। পরবর্তী বছর ৫০% ব্লক তৈরি করতে হবে তাদের। তিন বছরে ১০০% কংক্রিট বা সিমেন্ট ব্লক তৈরি করতে হবে ইটখোল মালিকদের। আর এভাবেই পরিবেশ বিধংসী মাটির ইট তৈরি ও ব্যবহার বন্ধ হতে যাচ্ছে বাংলাদেশে। বিকল্প হিসাবে আসছে কংক্রিট ব্লক, যা পরিবেশ বান্ধব, ভুমিকম্প সহনশীল ও সাশ্রয়ী। 

 

কাওসার বকুলের বাড়ি বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলীয় জেলা নওগাঁর মান্দা উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামে।সে এলাকায় কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে অন্তত চারটি ইটভাটা আছে।কাওসার বকুল জানালেন, সেখানে একটি ইটভাটার বিষাক্ত গ্যাসে মাঠের কয়েক বিঘা জমিতে ধানের শীষ নষ্ট হয়ে গেছে।

 

এতো গেল এক ধরণের ক্ষতি। ইটভাটার কারণে পরিবেশ ও কৃষির উপর যে নানামুখী ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে সেটি এখন অনেকরই।পরিবেশবাদী, স্থপতি এবং প্রকৌশলীরা বলছেন, ইটভাটার সর্বগ্রাসী প্রভাব থেকে লোকালয় রক্ষা করতে হলে কংক্রিটের তৈরি ব্লক দিয়ে বাড়ি বানানোর বিকল্প নেই।

 

প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ফলে বাড়িঘর নির্মাণের পদ্ধতিতে এসেছে বিস্তর পরিবর্তন। অন্যান্য যান্ত্রিক প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের সাথে সাথে চোখে পড়ার মতো একটি পরিবর্তন হলো অবকাঠামো নির্মাণে ক্রমবর্ধমান সিমেন্টের ব্লক ব্যবহার। ইটের পর ইট সাজিয়ে রাজমিস্ত্রির হাতে ধীরে ধীরে মাথা তুলে দাঁড়ানো ভবনগুলোর পাশেই আজকাল দাঁড়াচ্ছে সিমেন্ট ব্লক আর ‘হলো’ (ফাঁপা) ব্লকের তৈরি দালানকোঠা। দেখতেও মন্দ নয় ব্লকের তৈরি কাঠামো, বরং নির্মাণশৈলী ভালো হলে ব্লকের তৈরি বাড়িঘরেই আধুনিকতার ছাপ ফুটে ওঠে বেশি।

 

ইট নাকি ব্লক- বাড়ি তৈরির সময় তাই দ্বিধান্বিত হয়ে যান অনেকেই। দুটোরই রয়েছে নিজস্ব ধাঁচ, সৌন্দর্য আর সুবিধাদি। উভয়েই মজবুত, বিদ্যুৎ অপরিবাহী, তাপ ও চাপ সহনীয়। বাড়ির নকশা অনুযায়ী যেকোনোটিই বেছে নেয়া যেতে পারে নির্দ্বিধায়। তারপরও, দুটোর ব্যবহারের সুবিধাগুলো জানা থাকলে সিদ্ধান্ত নেয়া সহজ হবে।

 

 

সিমেন্ট ব্লক বনাম ইট

 

সিমেন্ট ব্লক সাধারণত ২০০ X ৪০০ X ২০০ মি.মি. (৭.৮৭ X ১৫.৭৫ X ৭.৮৭ ইঞ্চি) আকারের হয়ে থাকে, যেগুলো ২০০ মি.মি.-এর (৭.৮৭ ইঞ্চি) পুরু দেয়াল নির্মাণে ব্যবহৃত হয়। চিকন দেয়ালের জন্য ব্যবহার করা হয় ১০০ X ৪০০ X ২০০ মি.মি. (৩.৯৪ X ১৫.৭৫ X ৭.৮৭ ইঞ্চি) আকারের ব্লক। ইট সাধারণত ২৩০ X ১১০ X ৭৫ মি.মি. (৯.০৬ X ৪.৩৩ X ২.৯৫ ইঞ্চি) আকারের হয়ে থাকে।

 

ব্লকের তুলনায় ইটের ওজন কম হওয়ায় কাজ করার ক্ষেত্রে এটি সুবিধাজনক। সলিড (নিরেট) ব্লকগুলো আকারে বড় ও ভারী হলেও ‘হলো’ (ফাঁপা) ব্লকগুলো বেশ হালকা এবং কাজ করার ক্ষেত্রে সুবিধাজনক। ‘হলো’ ব্লকের আরেকটি সুবিধা হচ্ছে এর ভেতরে ফাঁকা স্থান থাকায় এটি ইট এবং সলিড ব্লক উভয়ের তুলনায় অধিক তাপনিরোধী। চাপ সহনশীলতাও ইটের চেয়ে ব্লকের বেশি।

 

অন্যদিকে, বর্ষাকালে পানি অধিক পানি শোষণ করায় ইটের দেয়ালে ছত্রাক গজায়, ব্লকের দেয়ালে যা অত সহজে জন্মাতে পারে না। আবার ব্লকের স্থায়িত্বও ইটের চেয়ে কিছু বেশি। নির্মাণকাল বিবেচনায় উভয়েরই নিজস্ব সুবিধা-অসুবিধা রয়েছে। ব্লকের আকার ইটের তুলনায় বড় হওয়ায় ব্লক দিয়ে দেয়াল নির্মাণ দ্রুত হয়। আবার ব্লকের চেয়ে ইট ছোট ও হালকা হওয়ায় ইট দিয়ে দেয়াল নির্মাণ অপেক্ষাকৃত সহজ।

 

 

ইটের কিছু বিশেষ সুবিধা

 

১. ব্লকের চেয়ে ইটের তাপ শোষণ ক্ষমতা অনেক বেশি। ইটের কাঠামো ও গঠন এমন যে এটি অধিক তাপ ধারণ করতে পারে, বিজ্ঞানের ভাষায় যাকে বলে ‘থারমাল ম্যাস’। দিনভর তাপ ধারণ করলেও রাতের বেলা দ্রুত তাপ ছেড়ে দিতে সক্ষম ইট।

 

২. ‘হলো’ ব্লকের তুলনায় ইটের স্থায়িত্ব বেশি। ইটের তৈরি বাড়ি দীর্ঘস্থায়ী ও টেকসই হবার কারণেই বাড়ি নির্মাণে এটি এখনও সর্বাধিক জনপ্রিয় উপকরণ।

 

৩. ইটের একটি মৌলিক গুণ হলো ‘কম্প্রেসন’ বা সংনমন। ইট তৈরিতে এর উপকরণ অর্থাৎ মাটি এতটা কমপ্রেস করা হয় যে ইটের ঘনত্ব সহজেই ব্লকের চেয়ে অনেকগুণ বেশি হয়। ফলে ইটের তৈরি দেয়ালে কোনোরূপ দাহ্য বিস্ফোরণ বা দহনের সম্ভাবনা থাকে না।

 

৪. রক্ষণাবেক্ষণে ইটের দেয়ালের চেয়ে সুবিধাজনক আর কিছুই নেই। ইটের দেয়ালে নির্মাণ চলাকালে কিছু রক্ষণাবেক্ষণ ছাড়া পরবর্তীতে আর তেমন কোনো যত্নের প্রয়োজন হয় না। যদিও ব্লকের দেয়াল নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

 

 

ব্লকের কিছু বিশেষ সুবিধা

 

১. ব্লক দিয়ে বাড়ি নির্মাণের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো খরচ কমে আসা। নির্মাতারা অনুমান করে থাকেন যে ব্লক দিয়ে বাড়ি নির্মাণ ইটের চেয়ে প্রায় ৩০ শতাংশ কম খরচে হয়ে যায়। প্রায় সাড়ে ৪টি ইটের সমান একটি ব্লক বাংলাদেশে বিক্রি হচ্ছে মাত্র ২৫-৪০ টাকায়। ইটের ব্যবহারে যেখানে অধিক সিমেন্ট, অধিক সময়, এবং ফলস্বরূপ রাজমিস্ত্রির পেছনে অধিক ব্যয় হয়, ব্লকের ব্যবহারে সাশ্রয় হয় সবগুলোই।

 

২. ব্লকের একটি বড় গুণ হলো এটি পরিবেশবান্ধব। ব্লক তৈরি করা হয় ফ্লাই অ্যাশ থেকে। আর ফ্লাই অ্যাশ হলো তাপোৎপাদী বিক্রিয়ার একটি অবশেষ মাত্র, যা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদিত হয়। এখানে ব্লকের কল্যাণে দ্বিমুখী লাভ পরিবেশের। প্রথমত, ব্লক উৎপাদনে মাটি পোড়াতে হচ্ছে না, ফলে চাষযোগ্য জমি বা পাহাড় খনন করতে হচ্ছে না। দ্বিতীয়ত, ফ্লাই অ্যাশ একটি বায়ু দূষণকারী উপাদান যা ব্লক নির্মাণে ব্যবহৃত হলে পরিবেশ দূষণমুক্ত হয়। এছাড়াও, ফ্লাই অ্যাশের দাম কম হওয়ায় ব্লক নির্মাণে খরচও কম হয়।

 

৩. ব্লকের মধ্যে সবচেয়ে হালকা হলো ‘অটোক্লেভড এরিয়েটেড কনক্রিট’ ব্লক বা এএসি ব্লক। এই ব্লক দিয়ে দেয়াল নির্মাণ অপেক্ষাকৃত অনেক সহজ বলে এটি নির্মাতাদের পছন্দের উপকরণ হয়ে উঠছে।

 

৪. বর্তমানে বাড়ি নির্মাণের সময় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয় যে বিষয়ে তা হলো বাড়ির ভূমিকম্প সহনশীলতা। নানা কারণে বেড়েছে ভূমিকম্প আর টর্নেডোর মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ। তাই অবকাঠামো নির্মাণের একটি প্রাথমিক প্রয়োজনীয়তা হলো একে ভূমিকম্প সহনীয় করে নির্মাণ করা। আর এখানে বেশ এগিয়েই থাকে ব্লক। যেকোনো প্রকার কম্পন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় ইটের চেয়ে ব্লকের কার্যকারিতা অনেকাংশেই বেশি।

 

৫. শহুরে বাড়িঘর, বিশেষ করে ব্যস্ত সড়কের পাশে কিংবা শিল্প-কারখানাবেষ্টিত অঞ্চলে বাসা বাড়ি নির্মাণে ব্লক হতে পারে দারুণ উপযোগী। একটি ইট এককভাবে অধিক ঘন হলেও ইটের গাঁথুনিতে তুলনামূলকভাবে অধিক সংখ্যক সংযোগস্থল থাকে যা ব্লকের ক্ষেত্রে তুলনামূলকভাবে কম। ফলে ব্লকের তৈরি বাসাবাড়ি ইটের তৈরি বাসাবাড়ির তুলনায় অধিক শব্দনিরোধী। তাই শব্দবহুল এলাকায় বাড়ি নির্মাণে ব্লকই শ্রেয়।

 

ইট এবং ব্লক, উভয়ের গুণাগুণ এবং বিশেষ সুবিধাদি জানবার পর কোনোটিকেই ব্যবহারের অনুপযোগী বলার সুযোগ নেই। বরং সিদ্ধান্ত নিতে হবে প্রয়োজন এবং পছন্দ অনুযায়ী। কেউ কেউ চান নির্মাণকাজ শেষে আর কিছু নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে নিশ্চিন্ত থাকতে। তাদের প্রথম পছন্দ হবে ইট। আবার যারা খরচ বাঁচিয়ে বাড়ি নির্মাণ এবং পরবর্তীতে নিয়মিত এর পরিচর্যা, পরিবর্তন আর পরিবর্ধনের ব্যাপারে আগ্রহী, তাদের জন্য ব্লকই যুতসই। 

 

 

ব্লক তৈরি হয় কিভাবে?

 

কৃষি জমির উপরিভাগ থেকে মাটি সংগ্রহ করে ইট তৈরি করা হয়। ফলে জমি উর্বরতা হারায়।অন্যদিকে ব্লক নির্মাণ করতে প্রয়োজন পলিবালু। নদীর তলদেশ দিয়ে এই পলিবালু প্রবাহিত হয়। পলিবালু জমে নদীর গভীরতা কমে যায়। ফলে নৌপথ সচল রাখতে প্রতিবছর ড্রেজিং করতে হয়।

 

সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রতিদিন গড়ে ৭০০ একর কৃষি জমি নষ্ট হচ্ছে। এটি মোট চাষযোগ্য জমির এক শতাংশ। এই ৭০০ একর জমির শতকরা ৮০ ভাগ ব্যবহার হচ্ছে গ্রামে অপরিকল্পিত আবাসনের কারণে। এবং শতকরা ১৭ ভাগ পোড়ামাটির ইটভাটার কারণে।সুতরাং কৃষি জমি এবং পরিবেশের উপর ইটভাটার প্রভাব মারাত্মক।  

 

 

স্থপতি ও পরিবেশবাদী ইকবাল হাবিব বলেন, "এই ড্রেজিং-এর মাটি দিয়ে ব্লক তৈরি করা সম্ভব । আমাদের একটা বড় সমস্যা হচ্ছে নদী ড্রেজিং করে মাটি ফেলার জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না।"

 

ড্রেজিং করে নদীর পাড়ে যখন পলিবালু ফেলা হয়, তখন সেটি আবারো নদীতে চলে যায়। ফলে।ইকবাল হাবিব বলছেন, যেসব নদীতে ড্রেজিং এর কাজ হয়, সেগুলোর কাছাকাছি ব্লক তৈরির শিল্প গড়ে তোলা যেতে পারে।  

 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্লক সাধারণত দুই ধরণের হয়। একটি হচ্ছে সলিড ব্লক এবং আরেকটি হচ্ছে হলো ব্লক। হলো ব্লকের মাঝে ফাঁকা থাকে।হলো ব্লক দিয়ে বাড়ি নির্মাণ করলে ইটের তুলনায় ভবনের ওজনও কম হয়।

 

হাউজিং এন্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইন্সটিটিউট এর তথ্য অনুযায়ী ড্রেজিং মাটির সাথে ১০ শতাংশ সিমেন্ট মিশিয়ে মেশিনে চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে ব্লক তৈরি হয়।এছাড়া কংক্রিট হলো ব্লক তৈরি করা হয় ২০ শতাংশ সিমেন্ট এবং ৮০ শতাংশ বালু মিশিয়ে।  

 

ব্লকের ব্যবহার হচ্ছে না কেন?

 

ইটভাটা পরিবেশ দূষণ করছে তাতে কোন সন্দেহ নেই।পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযানে অনেক ইটভাটা বন্ধ করা হয়েছে এবং হচ্ছে। ফলে নির্মাণ কাজের জন্য ইটের দামও বাড়ছে।তারপরেও কংক্রিটের ব্লক ব্যবহার হচ্ছে না কেন, সেটা জানা দরকার।   

 

ব্লক দিয়ে বাড়ি নির্মাণের বিষয়টি এখনো জনপ্রিয়তা পায়নি। শত বছর ধরে যেহেতু ইট দিয়ে স্থাপনা নির্মাণ হয়ে আসছে সেজন্য ইটের উপর মানুষের আস্থা আছে। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ ব্লকের গুণাগুণ সম্পর্কে কিছুই জানেন না।

 

স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, বাংলাদেশের যত নির্মাণ কাজ হয় তার ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ হয় সরকারি টাকায় ও সরকারি প্রকল্পে।গৃহায়ন ও গণপূর্ত, স্থানীয় সরকার, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য - এ চারটি প্রকৌশল দপ্তর সবচেয়ে বেশি নির্মাণ কাজ করে।

 

"সরকারি কাজে এই ব্লক ব্যবহার হচ্ছে না। এটার লাভজনক দিক তারা বিবেচনায় নিচ্ছে না।"

 

স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, সরকারি এ চারটি সংস্থা তাদের নির্মাণ কাজে ইটের বিকল্প হিসেবে ব্লক ব্যবহার করতো তাহলে অতি দ্রুত এই চিত্র বদলে যেতো।

 

ব্লকের দাম বেশি?

 

ব্লকের বিভিন্ন ধরণ রয়েছে। বাংলাদেশে বর্তমানে কয়েকটি বড় বড় নির্মাণ কোম্পানি ব্লক তৈরি করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভালো মানের ব্লকের দামও বেশি।স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, স্থানীয়ভাবে ছোট-ছোট আকারের ব্লক তৈরির প্ল্যান্ট গড়ে তোলা সম্ভব। এর মাধ্যমে একটি উপজেলার চাহিদা পূরণ করা যায়।

 

এ ধরণের ছোট আকারের প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য প্রথম দিকে সরকারের কিছু প্রণোদনার দরকার আছে।ব্লক তৈরির জন্য ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের প্ল্যান্ট হলে দামও কমে আসবে।একটা কংক্রিট ব্লক পাঁচটা ইটের সমান। একটা কংক্রিট ব্লক তৈরিতে খরচ ৪০ টাকা। অন্যদিকে একটি ইটের দাম এখন কমপক্ষে নয় টাকা। স্থান বিশেষ ইটের দাম আরো বেশি।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্লকের তৈরি স্থাপনায় ইটের চেয়ে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত সাশ্রয় হয়।   

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ